১২তম অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা জিতল ভারত। শনিবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে অসিদের ছুড়ে দেয়া ২১৭/১০ (৪৭.২ ওভার) রানের সাদামাটা লক্ষ্যটা রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা টপকে যায় ৬৭ বল হাতে রেখেই। সমান তিনবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে লড়াইটা ছিল এই অসিদের সঙ্গেই। চতুর্থ সাফল্যে এবার দুর্দান্ত দাপটের সঙ্গে রেকর্ডটা এককভাবে নিজেদের করে নিল ভারতের যুবারা। ‘ছেলেরা যেভাবে খেলেছে এবং যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে, ওদের নিয়ে আমি অনেক অনেক গর্বিত।’ বলেন প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়। আর কিংবদন্তিকে নিয়ে তরুণ অধিনায়ক পৃথ¦ী শ’র প্রতিক্রিয়া ‘রাহুল স্যারের কথা আর কি বলব। অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। গত দুই বছর আমাদের নিয়ে যারা কাজ করেছেন, সেই সাপোর্ট স্টাফদের প্রাপ্য বড় কৃতিত্ব।’ গ্র্যান্ড ফাইনালে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি (১০১*) হাঁকিয়ে ম্যাচসেরা বিজয়ী দলের ওপেনার মানজিত কারলা। নিউজিল্যান্ডে এবার কোন দলই গোটা টুর্নামেন্টে ভারতকে সেভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি। ধারণা করা হয়েছিল শিরোপার লড়াইটা জমবে। বে ওভালের ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া ৫৯ রানে হারায় ৩ উইকেট। চতুর্থ উইকেটে ৭৫ রানের জুটি গড়েন জোনাথন মের্লো ও পরম উপল। উপল ফেরেন ৩৪ রানে। মের্লো করেন ৭৬। এই দুজন যখন উইকেটে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুযোগ ছিল অন্তত আড়াই ’শ রানের স্কোর গড়ার। কিন্তু পরে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরে ভারত। ৩৩ রানে অস্ট্রেলিয়া হারায় শেষ ৬ উইকেট। যেখানে শেষ চারটি আবার ৪ রানের মধ্যে। ২১৮ রানের সহজ লক্ষ্যে যথারীতি সেই রান একরকম তুড়ি মেড়ে শুরু করে ভারত। ওপেনিংয়ে কারলা ও পৃথ¦ী শ ৭০ বলে ৭২ রানের জুটি গড়ে। অধিনায়ক পৃথ¦ী আউট হন ২৯ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে কারলা ও শুবমান গিল গড়েন ৬০ রানের আরও একটি কার্যকর জুটি। টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ খেলা গিল ফাইনালে আউট হন ব্যক্তিগত ৩১ রানে। এরপর আর উইকেট হারাতে হয়নি ভারতকে। কারলা ও হার্ভিক দেসাই গড়েন ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ১০২ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন কারলা। হার্ভিক ৪৭ রানে। ম্যাচসেরা কারলা। আর ৬ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ১২৪ গড়ে ৩৭২ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা শুবমান গিল। বয়স নিয়ে সমস্যার জন্য কারলার খেলাই প্রায় বাতিল হতে বসেছিল। মাস চারেক আগে হওয়া অনুর্ধ-১৯ কোচবিহার ট্রফির দল বাছাইয়ের সময় বয়সের প্রমাণে পরীক্ষাও দিতে হয়েছিল তাকে। সেঞ্চুরি করে দিল্লীর সেই বাঁহাতি ওপেনারই ফাইনালের নায়ক। ঠিক ১০০ বলে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংসটিকে তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের যুব বিশ্বকাপ জয়ের পর টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোহম্মদ কাইফ, রবীন্দ্র জাদেজা, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনরা। মানজোতের ইনিংসকেও শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। ইতিমধ্যেই তাকে ভবিষ্যতের তারকা বলতেও শুরু করেছে ক্রিকেট মহল। এর আগে ২০০০, ২০০৮, ২০১২ সালে যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা জিতেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়া ১৯৮৮, ২০০২ ও ২০১০-এ। দীর্ঘ সাত বছর পর শিরোপার এত কাছে এসেও পারল না স্টিভেন স্মিথের উত্তরসূরিরা।
Post Top Ad
Sunday, February 4, 2018
যুব বিশ্বকাপে ভারতের রেকর্ড চতুর্থ শিরোপা
Post Top Ad
Responsive Ads Here
Author Details
Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.