
কর্মব্যস্ত দিনের বেশিরভাগ সময়টাই কেটে যায় কর্মক্ষেত্রে। বেসরকারি চাকরিজীবীদের তো আবার ডিউটি আওয়ার্স অনেকটাই বেশি। অফিসটাই তখন যেন হয়ে ওঠে আরেক সংসার। আর সহকর্মীরা বন্ধু-বান্ধব। কিন্তু বসের সঙ্গে একটা দূরত্ব সকলেরই বজায় থাকে। কারণ বস তাঁর কর্মীদের সঙ্গে যতই মিলেমিশে থাকুন না কেন, কিছু বিষয় তিনি কখনোই বুঝতে দেন না। আর সেখানেই বজায় রাখেন গুরুত্ব। আপনি বসের সঙ্গে যতই খোশমেজাজে গল্প করুন না কেন, এই বিষয়গুলি ঘুনাক্ষরেও টের পাবেন না। জেনে রাখুন যে ব্যাপারগুলি কখনওই অফিসে এসে জানতে পারবেন না।
১. আপনার গুরুত্ব
কাজের জন্য হয়তো অফিসে আপনি পুরষ্কৃতও হয়েছেন। কিন্তু আপনি যে কর্মক্ষেত্রে অপরিহার্য তা বস কিছুতেই বুঝতে দেবেন না। দিনের শেষে তিনি আপনার থেকে প্রয়োজনীয় সব কাজ বের করে নেবেন ঠিকই, কিন্তু বুঝতে দেবেন না, যে আপনাকে ছাড়া বসের চলবেই না।
কাজের জন্য হয়তো অফিসে আপনি পুরষ্কৃতও হয়েছেন। কিন্তু আপনি যে কর্মক্ষেত্রে অপরিহার্য তা বস কিছুতেই বুঝতে দেবেন না। দিনের শেষে তিনি আপনার থেকে প্রয়োজনীয় সব কাজ বের করে নেবেন ঠিকই, কিন্তু বুঝতে দেবেন না, যে আপনাকে ছাড়া বসের চলবেই না।
২. বেতন নিয়ে আলোচনা
বেতন নিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করেন। আপনি না করলেও অনেকেই করেন। সহকর্মীর পদ ও বেতন জানতে অনেকেই আগ্রহী হন। কিন্তু বস সেই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ারই পরামর্শ দেন। আপনার বেতন যে পাশের লোকটির থেকে বেশি, তা আপনাকে গোপন রাখার কথাই বলেন বস। কর্মীদের মধ্যে সদ্ভাব বজায় রাখতেই এমনটা করে থাকেন বসেরা।
বেতন নিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করেন। আপনি না করলেও অনেকেই করেন। সহকর্মীর পদ ও বেতন জানতে অনেকেই আগ্রহী হন। কিন্তু বস সেই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ারই পরামর্শ দেন। আপনার বেতন যে পাশের লোকটির থেকে বেশি, তা আপনাকে গোপন রাখার কথাই বলেন বস। কর্মীদের মধ্যে সদ্ভাব বজায় রাখতেই এমনটা করে থাকেন বসেরা।
৩. বস বন্ধু হন না
বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করে, পার্টিতে বা আলাদা করে ডেকে আপনার পেট থেকে অফিস সংক্রান্ত অনেক কথাই বের করে নেন বস। কিন্তু তা কোথায় কীভাবে কাজে লাগাবেন, তা আপনি জানতেও পারেন না। তাই আপাতভাবে তাঁকে বন্ধু মনে হলেও বস কখনওই প্রকৃত বন্ধু হন না। বন্ধুত্বের পিছনে কোনো না কোনো উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই থাকে।
বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করে, পার্টিতে বা আলাদা করে ডেকে আপনার পেট থেকে অফিস সংক্রান্ত অনেক কথাই বের করে নেন বস। কিন্তু তা কোথায় কীভাবে কাজে লাগাবেন, তা আপনি জানতেও পারেন না। তাই আপাতভাবে তাঁকে বন্ধু মনে হলেও বস কখনওই প্রকৃত বন্ধু হন না। বন্ধুত্বের পিছনে কোনো না কোনো উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই থাকে।
৪. স্বাধীনতার অভাব
কোনো বিষয়ে যদি আপনাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়ে থাকে, তাহলে নিজের পক্ষে অবশ্যই আপনাকে বলার স্বাধীনতা দেওয়া হয়। কিন্তু তার মধ্যেও শালীনতা বজায় রাখার কথা ভাবতেই হবে আপনাকে। শুধু তাই নয়, এমন অনেক বিষয় থাকে যেগুলি আপনি চাইলেও ফাঁস করতে পারেন না। মনে রাখতে হবে, আপনি কিন্তু বসের অধীনে থেকেই কাজ করেন।
কোনো বিষয়ে যদি আপনাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়ে থাকে, তাহলে নিজের পক্ষে অবশ্যই আপনাকে বলার স্বাধীনতা দেওয়া হয়। কিন্তু তার মধ্যেও শালীনতা বজায় রাখার কথা ভাবতেই হবে আপনাকে। শুধু তাই নয়, এমন অনেক বিষয় থাকে যেগুলি আপনি চাইলেও ফাঁস করতে পারেন না। মনে রাখতে হবে, আপনি কিন্তু বসের অধীনে থেকেই কাজ করেন।
৫. আপনি থাকেন অন্ধকারেই
এমন অনেক অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে যায়, যেখানে হয়তো আপনার অবদানও কম ছিল না। কিন্তু আপনিই সেই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারেন সব শেষে। বলা ভাল, আপনাকে সব কথা জানানোর বিশেষ প্রয়োজনই বোধ করেন না বস। তাই কর্মক্ষেত্রে আবেগ সরিয়ে মন দিয়ে নিজের কাজ করে যান।
এমন অনেক অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে যায়, যেখানে হয়তো আপনার অবদানও কম ছিল না। কিন্তু আপনিই সেই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারেন সব শেষে। বলা ভাল, আপনাকে সব কথা জানানোর বিশেষ প্রয়োজনই বোধ করেন না বস। তাই কর্মক্ষেত্রে আবেগ সরিয়ে মন দিয়ে নিজের কাজ করে যান।