ফ্রান্স ফুটবল আয়োজন করেছিল বিশ্বব্যাপী ভোটাভুটির। বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবল একাদশ কোনটা, সেটা জানতে ভোট চেয়েছিল সারা বিশ্বের ফুটবলভক্তদের কাছে। সে ভোটের ফলাফল এসেছে। ভক্তদের ভালোবাসা একই কাতারে এনে দাঁড় করিয়েছে মেসি-রোনালদো, পেলে-ম্যারাডোনাকে। সবাই একই সঙ্গে জায়গা পেয়েছেন স্বপ্নের একাদশে।
ফ্রান্স ফুটবল একাদশটা সাজিয়েছে ৩-৪-৩ ছকে। মেসি-রোনালদো ও পেলে-ম্যারাডোনা ছাড়াও সেখানে আরও সাতজন মহাতারকার মিলনমেলা ঘটেছে। গোলবারে রাশিয়ার বিশ্বখ্যাত গোলরক্ষক লেভ ইয়াশিনের সামনে তিন ডিফেন্ডারের একজন হিসেবে জায়গা পেয়েছেন ব্রাজিলের বিশ্বজয়ী রাইটব্যাক কাফু। চুয়াত্তরের বিশ্বজয়ী জার্মান ডিফেন্ডার ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও পাঁচবারের ইউরোপিয়ান কাপজয়ী ইতালিয়ান ডিফেন্ডার পাওলো মালদিনি জায়গা পেয়েছেন কাফুর পাশে।
মাঝমাঠে আছেন ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে ও সদ্য প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তাঁদের পাশে মাঝমাঠ সামলানোর জন্য রাখা হয়েছে বার্সেলোনার কিংবদন্তি তারকা জাভি হার্নান্দেজ ও ১৯৯০ সালে জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক লোথার ম্যাথাউসকে। আক্রমণভাগে মেসি-রোনালদোর পাশে জায়গা পেয়েছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার রোনালদো নাজারিও দা লিমা।
পরম সম্মানের এই একাদশে জায়গা পেয়ে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছেন মেসি-রোনালদো, দুজনেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মেসি বলেছেন, ‘আমার কাছে ব্যালন ডি’অর ড্রিম টিমে জায়গা পাওয়াটা চূড়ান্ত সম্মানের। যাঁরা আমাকে নির্বাচিত করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার সঙ্গে এই দলে যাঁরা জায়গা পেয়েছেন, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন। এ ছাড়া এই দলে জায়গা পাওয়ার জন্য যাঁরা মনোনীত হয়েছিলেন, তাঁদেরও শুভেচ্ছা। ওই তালিকাতেও অনেক কিংবদন্তি রয়েছেন!’
রোনালদোর অনুভূতিও মেসির চেয়ে খুব বেশি ব্যতিক্রম নয়, ‘ফ্রান্স ফুটবলের সর্বকালের সেরা একাদশে সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। কী দুর্দান্ত দলটা! দলের প্রত্যেককে আমি সম্মান করি, ভালোবাসি। দুর্দান্ত খেলোয়াড়দের মধ্যে নিজেকে দেখে গর্বিত মনে হচ্ছে। সবাইকে ধন্যবাদ!’