ফের দেখা মিলল বাঘের শরণখোলায় বন বিভাগের অফিস চত্বরে
বাংলাদেশ
০৯ নভেম্বর, ২০২৩
পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ অফিসের চত্বরে আবারও বাঘের দেখা মিলেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সরাসরি এবং রাত ১২টার দিকে বাঘের উপস্থিতি টের পান বনরক্ষীরা। সন্ধ্যায় বাঘটি রেঞ্জ অফিস চত্বরে বিচরণ করা হরিণের পালে আক্রমণ করে। এ সময় বনরক্ষীরা কৌশলে বাঘটিকে তাড়িয়ে দিলে গভীর রাতে আবার ফিরে আসে।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যার পরে কোনো বনরক্ষীকে একা বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে অফিস চত্বরে কয়েকটি হরিণ ঘাস খাচ্ছিল। এমন সময় বনের ভেতর থেকে বিশাল একটি বাঘ এসে আক্রমণ করে হরিণের পালে। পরে ব্যারাক থেকে বনরক্ষীরাও বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাকে জানান। এ সময় নানাভাবে শব্দ করে বাঘটিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। যদিও পরে রাত ১২টার দিকে হরিণের অস্বাভাবিক ডাকাডাকি শুনতে পান তারা। এতে ধারণা করা হচ্ছে বাঘটি গভীর রাতে আবারও ফিরে এসেছিল।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের বিভিন্ন অফিসে চারবারে ছয়টি বাঘের দেখা পেলেন বনরক্ষীরা। এর আগে, ৭ অক্টোবর রাতে ধানসাগর ফরেস্ট স্টেশন অফিসের বনরক্ষীদের ব্যারাকের সামনে দু’টি বাঘ দেখা যায়। ৮ আগস্ট সকালে কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের বনরক্ষীদের ব্যারাকের খুব কাছে চলে আসে বিশাল এক রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এ সময় মোবাইলে বাঘটির ভিডিও ধারণ করেন বনরক্ষীরা। এছাড়া গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রেঞ্জের চান্দেশ্বর টহল ফাঁড়ি অফিসের পুকুরপাড়ে দেখা মেলে জোড়া বাঘের। প্রায় ২২ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে বাঘ দু’টি আবার বনে ফিরে যায়।
রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, ‘আগেও গভীর রাতে প্রায়ই বাঘ এসেছে অফিস চত্বরে। সরাসরি দেখতে না পেলেও বিভিন্ন স্থানে বাঘের পায়ের অসংখ্য ছাপ দেখে তা বুঝতে পেরেছি। তবে এভাবে সন্ধ্যার সময় আসেনি কখনো।’ তিনি আরো বলেন, বাঘ দেখার পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই হয়তো সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।